নিজেস্ব প্রতিবেদক
জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই নাসির উদ্দন বাদীর কাছ থেকে তার চাহিদা অনুরুপ ঘুষের টাকা না পেয়ে মামলা থেকে আসামীদের অব্যহতি দিয়েছেন বলে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী সাংবাদিক কেএম সোহেব জুয়েল।
মামলার বাদী সাংবাদিক সোহেব জুয়েল জানায়, গত ২৭ মার্চ ২০২২ ইং স্বৈরাচারী সরকার থাকাকালীন সময় বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ট জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের ঠাকুর মুল্লিক গ্রামের আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের পুত্র গোলাম মোর্শেদ ৫০ এর কাছে পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠি গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ খলিফার পুত্র সাংবাদিক কেএম সোহেব জুয়েল তার ঠিকাদারি পাওয়ানা টাকা চাইতে গেলে জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর বন্দরের ভাই ভাই মিস্টান্ন দোকানে জন সম্মুখে দিবালোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করেন স্বৈরাচারী সরকারের দোসর সন্ত্রাসী মোর্শেদ ও একই গ্রামের মোর্শেদের সহোযোগি নান্নু খাঁন ৪৮।
তৎকালীন সময়ে তাদের দাপটে থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় সরকার পতনের পর গত ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং অপরাধীদের বিচারের দাবিতে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন সাংবাদিক জুয়েল, সে মতে বাবুগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলামকে মামালা নিয়ে আসামীদের গ্রেফাতারের কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।
তারি ধারাবাহিকতায় মোর্শেদ ও নান্নুকে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক কেএম সোহেব জুয়েল। যার মামলা নং - জিআর -০৮ তাং- ২৫ /১১/২০২৪ ইং এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই মনিরুজ্জামানকে তদন্তের দায়িত্ব অর্পন করেন বাবুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম। আকর্ষিক এস আই মনিরুজ্জামানের বদলি জনিত কারনে এস আই নাসির উদ্দিনের উপর মামলার তদন্তর দায়িত্ব দেয়া হয়।
আসামীরা দীর্ঘ দিন পালিয়ে থেকে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে সন্ত্রাসী মোর্শেদের জাবিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন বিজ্ঞ আদালত।
সাংবাদিক জুয়েল আরো জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাসির উদ্দিন মামলার চার্জসিট আদালতে প্রেরনের জন্য তার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি অপারকতা প্রকাশ করে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সাংবাদিক জুয়েল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাসির উদ্দিনকে নগদ দুই হাজার টাকা দেন।
এস আই নাসির আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্টিত করতে আলীগের দোষরদের মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন বলে এমনি ধারনা করেন সাংবাদিক জুয়েল।
আসামী মোর্শেদ জেল হাজত থেকে জাবিনে বের হলে এস আই নাসির উদ্দিন মোর্শেদ ও নান্নুর সাথে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসামীদের মামলা থেকে অব্যহতি দিয়েছেন বলে একাধিক সুত্রে জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক জুয়েল।
মামলা থেকে আসামীদের অব্যহতির কথা জানতে পেরে ১৮ মে রবিবার বেলা ১১ টায় আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছুটে যান মামলার বাদী সাংবাদিক জুয়েল, এস আই নাসির উদ্দিন কোন কথা না বলে জুয়েলের কাছ থেকে মামলা বাবদ নেয়া নগদ ২ হাজার টাকা ফেরদ দিয়ে তার রুমে চলে যান এস নাসির উদ্দিন।
এ বিষয় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিক সোহেব জুয়েল মুঠো ফোনে আলাপ কালে বিস্তারিত শুনে সাংবাদিক সোহেবকে লেখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার।
সে মতে সাংবাদিক জুয়েল ১৯ মে সোমবার এস আই নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ও মোটা অংকের ঘুষ গ্রহন করে আসামীদের মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার বিষয় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় গিয়ে তার নিজ হস্তে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লেখিত অভিযোগ প্রদান করেন সাংবাদিক সোহেব জুয়েল।
উল্লেখ্য, গোলাম সোর্শেদ ২০১২ ইং বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রাম থেকে আগ্নেয় অস্ত্র সহর্্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারা ভোগ করে জেল থেকে বেরিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের যোগসাজশে নানান অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে করেন তিনি। তার বাবুগঞ্জ থানার জিআর অস্ত্র মামলা - নং - ৬০/১২। তার সহোযোগি নান্নু খান একই অপরাধে অপরাধী হয়ে ঘুরে বেরান।